কক্সবাজার সৈকত থেকে অবৈধ দোকান-স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু

কক্সবাজার
কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দখল করে গড়ে তোলা অর্ধ শতাধিক দোকান ও স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে জেলা প্রশাসন। রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উচ্ছেদ কার্যক্রম নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে সৈকতে বিপুল সংখ্যক সেনাবাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। পাশাপাশি স্থাপনা অপসারণে আনা হয় একটি এক্সকাভেটর।
এর আগে শনিবার (১১ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে এক জরুরি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে, সৈকতে নতুন স্থাপনা ১১ অক্টোবর রাতের মধ্যে এবং পুরাতন স্থাপনা ১৬ অক্টোবরের মধ্যে সরাতে হবে।
জানা গেছে, গত এক বছরে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক, সুগন্ধা, কলাতলী, দরিয়ানগর, হিমছড়ি, সোনারপাড়া, ইনানী, পাটুয়ারটেক ও টেকনাফ সৈকতে শতাধিক দোকান ও অস্থায়ী স্থাপনা গড়ে ওঠে। বিশেষ করে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের বদলির পর সুগন্ধা সৈকতে দ্রুত টংঘর ও দোকান বসানো হয়।
সরকার ১৯৯৯ সালে নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতকে ‘প্রতিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন এলাকা’ (ECA) ঘোষণা করে। আইনে বলা আছে, জোয়ার-ভাটার অঞ্চল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে কোনো স্থাপনা নির্মাণ বা উন্নয়ন করা নিষিদ্ধ।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) আপেল মাহমুদ বলেন, “সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো অন্তত অর্ধ শতাধিক দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। মালিকদের দুপুর ২টার মধ্যে নিজ উদ্যোগে স্থাপনা সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তা না করায় প্রশাসন অভিযান চালিয়ে উচ্ছেদ করে।”
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, “সৈকতের বালিয়াড়ি দখল করে বসানো স্থাপনা সরাতে আগেই নির্দেশনা জারি করা হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে স্থাপনা না সরানোয় রোববার প্রশাসন অভিযান চালায়।”
এর আগে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরসহ একাধিকবার সৈকতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।