কক্সবাজারে হত্যা মামলার ৯ মাস পর মূল রহস্য উদঘাটন, দুই আসামির দায় স্বীকার 

কক্সবাজার মহেশখালী

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজারের মহেশখালীতে বহুল আলোচিত মনির আহমদ হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (পিবিআই)। দীর্ঘ ৯ মাস পর এ মামলার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পিবিআই কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান।

তিনি জানান, ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর ভোর রাতে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের ষাইটমারা পাট্টাছড়ি ঘোনা এলাকায় গুলি করে হত্যা করা হয় মাছ ব্যবসায়ী মনির আহমদকে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মহেশখালী থানায় ১৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। প্রথমে থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত করে ৩৫ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে এবং ৬ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে। ১০ জন জামিনে মুক্তি পান, ১ জন কারাগারে রয়েছেন এবং ৩ জন এখনও পলাতক।

পিবিআই পুলিশ সুপার আরো জানান, হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশে চলতি বছরের ১ আগস্ট মামলার তদন্তভার আমাদের দেয়া হয়। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিয়ার রহমানের তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে নতুন করে তদন্ত শুরু হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর আদালতের আদেশে এজাহারনামীয় আসামি জয়নাল আবেদীনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তিনি আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডে নিজের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। জমি ও মাছের ব্যবসা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে তিনি এ হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন বলে জানান। এরপর জয়নালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত ২১ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে আসামি মো. আক্কাসকে (৩৭) গ্রেপ্তার করে পিবিআই। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনিও হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। তিনি জানান, ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে এ ঘটনায় অংশ নেন। তার সহযোগীদের মধ্যে একজন মনির আহমদকে গুলি করলে পরে তিনি হাসপাতালে মারা যান।

পুলিশ সুপার মতিয়ার রহমান জানান, উভয় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি আদালতে লিপিবদ্ধ হয়েছে। পলাতক অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পিবিআই। সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই এর পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী ও মনোজ কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।