কক্সবাজার প্রতিনিধি :
নারীর ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ এবং দুর্যোগ সহনশীল সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়ে কক্সবাজারে শুরু হয়েছে ‘নারী শক্তি, সমাজ শক্তি প্রকল্প।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি হোটেলে হেলভেটাস সুইস ইন্টারকোপারেশন ও সুইজারল্যান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ প্রকল্পের উদ্বোধন হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. শামসুদ্দোজা।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন হেলভেটাস-এর লিড-জেন্ডার জাস্টিস তাজমেরী আক্তার বলেন, “কক্সবাজারের ঝুঁকিপূর্ণ প্রেক্ষাপটে নারীদের ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের মাধ্যমে আরও নিরাপদ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও দুর্যোগসহনশীল সমাজ গড়ে তুলতে একটি জেন্ডার-রূপান্তরমূলক সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।”
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা হেলভেটাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। পরে প্রকল্পের লিড হিউম্যানিটারিয়ান রেসপন্স শেখ খালেকুজ্জামান প্রকল্পের কার্যক্রম বিস্তারিত তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি প্রতিনিধিরা দুর্যোগ সহনশীল সমাজ গঠন, টেকসই জীবিকা উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন নিশ্চিতকরণ বিষয়ে তাদের অভিজ্ঞতা ও পরামর্শ তুলে ধরেন। এসব মতামতের আলোকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে প্যানেল ডিসকাশনের আয়োজন করা হয়।
প্যানেল আলোচনায় বক্তারা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, সামাজিক সুরক্ষা ও দুর্যোগ সহনশীল সমাজ গঠনে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থার চলমান উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এ আলোচনা সেশনটি পরিচালনা করেন মো. মাহমুদুল হাসান, হেড অব প্রোগ্রাম।
উল্লেখ্য, তিন বছর মেয়াদি এ প্রকল্পটি উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলার হোস্ট কমিউনিটি ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সহযোগী সংস্থা ইএসডিও ও উত্তরণ-এর মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো নারীদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করা, সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং দুর্যোগ সহনশীল ও জেন্ডার বান্ধব সমাজব্যবস্থা গড়ে তোলা।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. শামসুদ্দোজা প্রকল্পের সফলতা কামনা করে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সমাপনী ঘোষণা করেন।
এসময় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুব্রত বিশ্বাস, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আজাদ রহমান, বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধি, ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিধি, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, কমিউনিটির নারী প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও প্রকল্প কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।