অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েলে নজিরবিহীন ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইরান অন্তত ১৫০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে। এ ছাড়া বেশ কিছু সংখ্যক ড্রোনও ছোড়া হয়েছে। অবশ্য হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র দানিয়েল হাগারি টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা প্রতিরোধ এবং প্রতিশোধ নিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঠিক সময়মতোই এর জবাব দেওয়া হবে।
আইডিএফের মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল দানিয়েল হাগারি আরও বলেছেন, বর্তমানে ইরান থেকে ইসরায়েলের দিকে নতুন করে কোনো হুমকি নেই।
তার মানে ইসরায়েলি বাহিনীর মুখপাত্রের বক্তব্যে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সমাপ্তির ইঙ্গিত স্পষ্ট। যদিও বাসিন্দাদের বোমা আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল এবং দেশজুড়ে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সতর্কতা সাইরেন বাজানো হয়েছিল। এই আহ্বানের এক ঘণ্টা পরই আইডিএফের মুখপাত্র ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সমাপ্তির ইঙ্গিত দিলেন।
টেলিভিশন বক্তৃতায় হাগারি বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিরোধ করেছিল। দেশের দক্ষিণে এই হামলার কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তিনি বলেন, এই পর্যায়ে, আমরা এখনও (প্রতি–আক্রমণের) বিষয়ে পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত হতাহতের বিষয়ে কোনো খবর পাইনি।
এর আগে, ইসরায়েল বলেছিল যে তাদের সৈন্যরা ‘সীমিত’ স্থল অভিযানের জন্য দক্ষিণ লেবাননে প্রবেশ করেছে। তবে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি বাহিনীর ওই অঞ্চলে প্রবেশের তথ্য অস্বীকার করেছে।
লেবাননের প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেছেন, লেবানন তার ইতিহাসের সবচেয়ে বিপজ্জনক পর্যায়গুলোর একটির মুখোমুখি হয়েছে।
এদিকে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে, আজ মঙ্গলবার কমপক্ষে ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
গাজায় গত বছরের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪১ হাজার ৬৩৮ জন নিহত এবং ৯৬ হাজার ৪৬০ জন আহত হয়েছে। এর আগে ইসরায়েলে গত বছরের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় কমপক্ষে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং ২০০ জনেরও বেশি লোককে জিম্মি করে হামাস।