চট্টগ্রামে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিলেন সারজিস-হাসনাত

জাতীয়

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের (চমেক) অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সাহেনা আক্তারের পদত্যাগের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কেন্দ্রীয় দুই সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহ। এ সময় চমেকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে যোগ দিয়ে চমেক অধ্যক্ষের পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।

বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে চমেক হাসপাতালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের দেখতে যান তারা। চমেকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান এই দুই সমন্বয়ক।

সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান। শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, সেই জায়গায় তিনি যদি সেই দায়িত্ব পালন করতে না পারেন। তাহলে তার যদি ন্যূনতম ব্যক্তিত্ব থাকে, ন্যূনতম লজ্জা থাকে, ন্যূনতম দায়বদ্ধতা থাকে ওই পদটি ছেড়ে দেওয়া উচিত। আমাদের স্পষ্ট কথা, একটি রাজনৈতিক দলের তোষামদকারী পদলেহন করা একজন এজেন্টের এত বড় একটি প্রতিষ্ঠানের দায়বদ্ধতা নেওয়ার যোগ্যতা নেই। উনি ওনার জায়গা থেকে পদত্যাগ করার পূর্ব পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে আসতে পারবেন না। শুধু একবারের জন্য আসবেন পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করতে। এটার জন্য আমাদের পক্ষ থেকে যা করার দরকার আমরা সেটাই করব।

এর আগে ডা. সাহেনা আক্তারের পদত্যাগের দাবিতে গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই অধ্যক্ষের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ৩ আগস্ট ‘চট্টগ্রামের শান্তিকামী চিকিৎসক সমাজ’-এর ব্যানারে ‘ছাত্রদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে পুঁজি করে জামায়াত শিবির ও বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস ও সুপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের’ অভিযোগ তুলে শান্তি সমাবেশ করা হয়েছিল। সেই সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার। পাশাপাশি তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেওয়া কলেজের শিক্ষার্থীদের হুমকি দিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *