নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাব গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উদযাপিত হলো সশস্ত্র বাহিনী দিবস।
এ দিবসটি উপলক্ষে বিকেলে চট্টগ্রাম নেভাল বার্থে সাধারণ জনসাধরণের পরিদর্শনের জন্য উন্মোক্ত করা হয় বাংলাদেশ নৌবাহিনী জাহাজ “বানৌজা সমুদ্র অভিযান”।
নৌবাহিনী জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে এ জাহাজটি ২০১৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বহরে সংযুক্ত হয়। সে থেকেই জাহাজটি দেশের সাবভৌমত্ব রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে। নতুন প্রজন্মকে উদ্ভূদ্ধ করতে আজকের দিনে যুদ্ধ জাহাজ উন্মুক্ত রাখা হয় বলেও জানায় নৌবাহিনী।
এর আগে চট্টগ্রামসহ বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সকল মসজিদসমূহে বাদ ফজর মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী বীর শহিদগণের আত্মার মাগফেরাত, দেশের সুখ ও সমৃদ্ধি, সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর উন্নতি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এছাড়া সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে সকালে কমান্ডার খুলনা নৌ অঞ্চল যুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন ও শহিদ বীর বিক্রম মহিবুল্লাহ্র মাজারে ‘গার্ড অব অনার’ ও পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পাশাপাশি খুলনায় বানৌজা তিতুমীর ঘাঁটিতে খুলনা, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সশস্ত্র বাহিনীর কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তা, খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারবর্গের সম্মানে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পদবীর সামরিক কর্মকর্তাগণ ছাড়াও খুলনা বিভাগের উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যগণ, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজসমূহের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীবৃন্দ এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন।
নৌবাহিনীর সকল জাহাজ ও ঘাঁটিসমূহে মহান মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদানের উপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং নৌবাহিনী স্কুল ও কলেজসমূহে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে ঢাকার সদর ঘাঁটে বিএনডিবি গাংচিল, চট্টগ্রাম নেভাল বার্থে বানৌজা সমুদ্র অভিযান, খুলনা বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চ টার্মিলানে বানৌজা বিশখালী, মোংলা দিগরাজ নেভাল বার্থে বানৌজা আবু বকর, বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ ঘাঁটে বানৌজা পদ্মা এবং চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাঁটে বানৌজা অতন্দ্র দুপুর ২টা হতে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সর্বসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এ সময় বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ নৌবাহিনীর জাহাজসমূহ ঘুরে দেখেন।












