কিডনির যত্ন; খালি চোখে কিডনি রোগ বোঝার উপায়

স্বাস্থ্য

শরীরের দুটি কিডনি ৭০-৮০ ভাগ নষ্ট হওয়ার আগে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না।

শরীরের দুটি কিডনি ৭০-৮০ ভাগ নষ্ট হওয়ার আগে তেমন কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। যার কারণে প্রাথমিক অবস্থায় অনেকেই বুঝতে পারেন না তিনি কিডনি রোগে আক্রান্ত। এ রোগ শরীরে বাসা বাঁধার আগেই জেনে নেয়া যাক কিডনি রোগের প্রাথমিক ও গুরুতর লক্ষণগুলো কী কী।

সবসময় ক্লান্তি: সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই সবসময় ক্লান্তি, দুর্বল অনুভব করা, ওজন কমে যাওয়া এ রকম যদি নিয়মিত হতে থাকে। কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়, সে কারণে এ ক্লান্তি ভাব হয়।

ফোলা ভাব: বিশেষ করে চোখের নিচে, পায়ের গোড়ালি ও হাতে ফোলা ভাব। একটু বেশি ঘুমালে বা অ্যালার্জির কারণে ফুলে যাওয়ার সঙ্গে কিডনির অসুখে ফোলার পার্থক্য হচ্ছে এর স্থায়িত্ব। যদি চোখের নিচে, পায়ের গোড়ালি ফোলা ভাব স্থায়ী হয়, এক সপ্তাহ বা দুই সপ্তাহ হয় তাহলে সেটা কিডনির কারণে হতে পারে। কিডনি যখন শরীর থেকে পানি বের করতে পারে না তখন তা শরীরে জমে গিয়ে এই ফোলা ভাব হয়।

ঘুমের ব্যাঘাত: কিডনি যখন শরীর থেকে পানি নিঃসরণ করতে পারে না তখন কিছু পানি ফুসফুসে জমে যায়। সে কারণে ঘুমের সমস্যা হতে পারে। দাঁড়ানো অবস্থায় বুক ভরে শ্বাস নেয়া যায় কিন্তু দেখা যায় শোয়া অবস্থায় বুক পুরোপুরি প্রসারিত হতে পারে না। পানি জমলে সমস্যাটা বেশি হয়। ঘুমন্ত অবস্থায় শ্বাসে সমস্যা হয় বলে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে।

ত্বকের সমস্যা: কিডনির মূল কাজ শরীর থেকে সব ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেয়া। কিডনি সেই কাজটি ঠিকমতো করতে না পারলে ত্বকে এর ছাপ পড়ে। যেমন শরীরের ইউরিয়া বের হতে না পেরে ত্বকের নিচে জমা হতে থাকে। তখন চুলকানি হয়, ত্বকের রঙ পরিবর্তন ও খসখসে হয়ে যেতে পারে, ফুসকুড়ি হতে পারে।

প্রস্রাবে পরিবর্তন: ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া অথবা প্রস্রাব কমে যাওয়া দুটোই কিডনির সমস্যার লক্ষণ। শরীর থেকে পানি বের করা ছাড়াও পানি শুষে নেয়ার কাজও করে কিডনি। সেটি করতে না পারলে বেশি প্রস্রাব হয়ে থাকে।

মাংসপেশিতে টান লাগা: কিডনির সমস্যার কারণে ইলেকট্রোলাইট, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের ভারসাম্যহীনতা হয়ে থাকে। এতে মাংসপেশিতে টান লাগা ও খিঁচুনির সমস্যা হতে পারে। এছাড়া খাবারে দীর্ঘদিন অরুচি ও বমি ভাব এগুলোই কিডনি অসুখের প্রধান লক্ষণ। এর একটি লক্ষণ থাকলেও চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

সুত্রঃ বনিক বার্তা