নিজস্ব প্রতিবেদক
অনিয়ম ও দুর্নীতির বিভিন্ন অভিযোগে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) কয়েকটি শাখায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকালে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনের নেতৃত্বে একটি দল সরেজমিনে অভিযান চালায়।
এসময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড শাখায় বেশকিছু অনিয়ম ও গড়মিল দেখতে পান দুদক কর্মকর্তারা। অভিযানে এক ভুক্তভোগীকে ফোন দেন দুদক কর্মকর্তা। পরে সেই ভুক্তভোগী মুঠোফোনে দুদক কর্মকর্তাকে জানান, ১১ হাজার টাকা সরকারি খরচের জায়গায় ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন কউকের এক কর্মকর্তা।
মূলত দীর্ঘদিন ধরেই কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অথরাইজড শাখা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ ছিল সেবাগ্রহীতাদের। মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে ভবন নির্মাণের অনুমোদন, নকশা প্রদান, ৫ তলার অনুমোদন দিয়ে ৭ তলা নির্মাণ, ঘুষ না দিলে ভবন নির্মাণের অনুমতি না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল অথরাইজড কর্মকর্তাসহ একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।
অভিযানের সময়, দুদক কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে পড়ে যান অথরাইজড অফিসার।
দুদক জানায়, সুর্নিদিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতেই তারা অভিযান পরিচালনা করেছে এবং নথিপত্র যাচাইবাছাই করে কারা এসব অনিয়মে জড়িত তা আরও অধিকতর তদন্ত করা হবে।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদানের জন্য কউকের সহকারী অথরাইজড অফিসার মোর্শেদ আলমসহ কয়েকজন ইমারত পরিদর্শককে বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বলেছে দুদক।