কক্সবাজারে দুই বাসের চাপায় পথচারীর মৃত্যু, বিক্ষোভে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম স্থানীয়দের

কক্সবাজার

কক্সবাজার প্রতিনিধি

কক্সবাজার শহরের প্রবেশদ্বার টার্মিনাল এলাকায় দুই বাসের চাপায় আইয়ুব (৪২) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর স্থানীয়রা সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আল্টিমেটাম দেন।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসটার্মিনাল কবরস্থানের মসজিদে এশার নামাজ শেষে রাস্তা পার হচ্ছিলেন আইয়ুব। এ সময় নাপ্পাঞ্জা পাড়ার রাস্তার মাথায় এ ছালাম ও বলাকা পরিবহনের দুই বাসের মাঝে চাপা পড়েন তিনি। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত আইয়ুব কক্সবাজার শহরের নাপ্পাঞ্জা পাড়ার মৃত কবির আহমদের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর সম্প্রতি দেশে ফিরে এসেছিলেন।

রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইয়ুবের মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। নাপ্পাঞ্জা পাড়া, লার পাড়া ও ডিককুল এলাকার শতাধিক মানুষ শহরের প্রবেশদ্বার টার্মিনালে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

বিক্ষুব্ধদের অভিযোগ, আন্তঃজেলা পরিবহনের বাসগুলো টার্মিনাল এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সড়কে অবৈধভাবে পার্কিং করে যাত্রী তোলে এবং যাত্রীদের টানাহেঁচড়া করে প্রতিযোগিতা চালায়। ওই প্রতিযোগিতার কারণেই আজ আইয়ুবের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করেন তারা।

খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশের আশ্বাসে পরে স্থানীয়রা বিক্ষোভ স্থগিত করেন এবং যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

বিক্ষোভকারীরা দুই বাসের চালক ও হেল্পারদের বিরুদ্ধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

তারা অভিযোগ করেন, বলাকা, জনতা, এ ছালাম (এসি) ও কক্স স্পেশাল নামের আন্তঃজেলা বাসগুলো নিয়মিতভাবে টার্মিনালের মূল সড়কে পার্কিং করে যাত্রী তোলে, যার ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। অনেক সময় এ বাসগুলোর বেপরোয়া প্রতিযোগিতার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের ধারণা, ট্রাফিক বিভাগের কিছু অসাধু সদস্যও এই বিশৃঙ্খলার সঙ্গে জড়িত।