কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক স্থানে দুটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত পাঁচটি বসতঘর ও একটি হাসপাতাল পুড়ে গেছে। তবে কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
প্রথম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে। রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের বি-ব্লকে আগুন লাগে। এতে অন্তত পাঁচটি ঘর পুড়ে যায়।
আগুন লাগার পর স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ক্যাম্পের ইমার্জেন্সি ফায়ার রেসপন্স ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। পরে রাত পৌনে ১২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
উখিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ডলার ত্রিপুরা জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতা অব্যাহত ছিল। দুটি অগ্নিকাণ্ডের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত করা হবে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর আহমদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
এর কয়েক ঘণ্টা পর শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে আরও ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। রাজাপালং ইউনিয়নের মধুরছড়া এলাকার ৪ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-ব্লকে অবস্থিত একটি হাসপাতালে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এই অগ্নিকাণ্ডে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ‘ওবাট হেলথ পোস্ট’ নামের একটি হাসপাতাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে এবং আগুনে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সরঞ্জাম, ওষুধ ও অবকাঠামো নষ্ট হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটির হেলথ কো-অর্ডিনেটর ডা. মাহামুদুল হাসান সিদ্দিকী রাশেদ।
তিনি বলেন, আকস্মিক অগ্নিকাণ্ডে পুরো হাসপাতাল পুড়ে গেছে। আগুন লাগার সুনির্দিষ্ট কারণ এখনো জানা যায়নি। এই কেন্দ্র থেকে আশপাশের রোহিঙ্গা ও স্থানীয় মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা পেতেন।
উল্লেখ্য, গত বছর কুতুপালং ১-ডব্লিউ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এক হাজারের বেশি ঘর পুড়ে যায় এবং একজনের মৃত্যু হয়। শীত মৌসুমে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পজুড়ে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।












