আইনজীবী আলিফ হত্যায় ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা

চট্টগ্রাম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চট্টগ্রাম আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

এতে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১০ থেকে ১৫ জনকে আসমী করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার গভীর রাতে ভুক্তভোগী সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এছাড়া আদালত এলাকায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় খানে আলম নামে একজন বাদী হয়ে ১১৬ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা হয়েছে। দণ্ডবিধি এবং বিস্ফোরক আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলাটি করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) দক্ষিণ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) শাকিলা সোলতানা বলেন, মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) আদালত এলাকার ঘটনায় শুক্রবার রাতে দুটি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে হত্যা মামলাটি একেবারে যাচাই-বাছাই করে রুজু করা করা হয়েছে। এর আগে একই ঘটনায় আরও ৩টি মামলা হয়েছিল।

সোমবার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্যরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন (মঙ্গলবার) কোতোয়ালি থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে মহানগর ষষ্ঠ কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণকে। আসামী পক্ষের আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এটি নিয়ে বিক্ষোভ করেন চিন্ময় দাসের অনুসারীরা।

এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিক্ষোভকারীরা। দুপুরের পর বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আদালত এলাকায় বেশ কয়েকটি কার, মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।

একপর্যায়ে বিকেলে আদালতের প্রধান ফটকের বিপরীতে রঙ্গম কনভেনশন হলের পাশের গলিতে খুন হন হাই কোর্টের এনরোল হওয়া অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ।

বুধবার চট্টগ্রাম শহরে দুই দফা এবং লোহাগাড়া উপজেলায় দুই দফা জানাজা শেষে উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ফারেঙ্গা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে আইনজীবী সাইফুলকে দাফন করা হয়। অ্যাডভোকেট সাইফুল ২০১৮ সালে জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। পরে তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবেও নিবন্ধন পান।