অপহরণ রোধে বিশেষ অভিযানের দাবিতে সাংবাদিক নুপার অবস্থান কর্মসূচি

কক্সবাজার

শাহ্‌ মুহাম্মদ রুবেল

টেকনাফের পাহাড় কেন্দ্রিক ধারাবাহিক অপহরণের ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে টেকনাফের পাহাড়ে সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযানের দাবিতে সাংবাদিক ও কবি নুপা আলমের ব্যক্তিগত উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

রবিবার (৫ই জানুয়ারী) সকাল ১১টায় কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং স্থানীয় জনগণ সংহতি জানিয়ে অংশ নেন।

অবস্থান কর্মসূচির সূচনা বক্তব্যে নুপা আলম বলেন, টেকনাফের পাহাড়ে রোহিঙ্গা ও স্থানীয় অপরাধীদের নেতৃত্বে গঠিত স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে অপহরণ করে মুক্তিপণের জন্য জিম্মি করছে। বিগত কয়েক বছরে এসব গোষ্ঠীর হাতে টেকনাফে অসংখ্য অপহরণ, নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১৯২ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই মুক্তিপণ দিয়ে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, আর কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন। শুধুমাত্র গত এক সপ্তাহেই অপহৃত হয়েছেন ৩০ জন, যাদের মধ্যে দুইজন এখনও নিখোঁজ।

নুপা আলম দাবি করেন, সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হলে এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম রোধ করা সম্ভব।

কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট হাসান সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী এইচএম ওসমান গণি, চাকরিজীবী হাসান আলী এবং সাংবাদিক আহসান কুতুবী, মুহিব উল্লাহ মুহিবসহ আরও অনেকে।

কর্মসূচি শেষে টেকনাফের মানুষের পক্ষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নিজাম উদ্দিন আহমদ।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, “টেকনাফের অপহরণ পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে সন্ত্রাস দমনে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।”

অপহরণের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে সেনা বাহিনীর নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান পরিচালনার দাবিতে এলাকাবাসীর প্রত্যাশা ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। স্থানীয় জনগণ আশাবাদী, দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে এই দুর্যোগময় পরিস্থিতির অবসান ঘটবে।