Unauthorized entry into Chattogram port's waters; foreign ship fined 1 million taka.

অনুমতি ছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় প্রবেশ ; বিদেশি জাহাজকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা

চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম সংবাদদাতা ;

চট্টগ্রাম বন্দরের অনুমতি না নিয়ে বন্দর জলসীমায় প্রবেশের দায়ে এমটি ডলফিন-১৯ নামের বিদেশি একটি অয়েল ট্যাঙ্কারকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এমটি ডলফিন-১৯ নামে পানামার পতাকাবাহী জাহাজটি জ্বালানি তেল বহন করছিল।

এর আগে, সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বন্দরের হারবার মাস্টার বিদেশি জাহাজটির নিয়োগ দেওয়া বাংলাদেশি প্রতিনিধি মেসার্স এইচএসআর ওশেন ট্রেডারকে জরিমানা পরিশোধের নোটিশ দিয়েছেন।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান গত শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এমটি ডলফিন-১৯ বাণিজ্যিক জাহাজটি বন্দরের জলসীমা কুতুবদিয়ায় প্রবেশ করে অবস্থান নেয়। তবে এ বিষয়ে জাহাজের মাস্টার কোনো পূর্বঘোষণা দেননি এবং বন্দরের রেডিও কন্ট্রোল বিভাগকেও অবহিত করেননি।
বন্দরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা ভিটিএমআইএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে জাহাজটির বন্দর সীমানায় অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত হন। যোগাযোগ করা হলে জাহাজের মাস্টার বন্দর সীমানায় প্রবেশের আগে ঘোষণা না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো জাহাজ বন্দর সীমানায় প্রবেশের অন্তত পাঁচ কর্মদিবস আগে স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে ঘোষণা ও অঙ্গীকারনামা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এমটি ডলফিন-১৯ সেই আইন অমান্য করে অবৈধভাবে বন্দরের জলসীমায় প্রবেশ করায় ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার ০৪ ফেব্রুয়ারি দুপুরে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সিয়াম-উল-হক জানান।

গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ শনিবার কক্সবাজার কুতুবদিয়া বহির্নোঙ্গর এলাকায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড জাহাজ অপূর্ব বাংলা রুটিন টহলকালীন বাংলাদেশী ওয়েল ট্যাংকার ‘ওটি ইউনিয়ন’, পানামা পতাকাবাহী একটি বিদেশী বাণিজ্যিক জাহাজ ‘MT DOLPHIN-19’ হতে জ্বালানি তেল আদান প্রদান করার সময় কোস্ট গার্ড টহল দলকে জাহাজ দুটি জ্বালানি তৈল সংগ্রহ কিংবা প্রদানের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারায় বিদেশী জাহাজটিকে আটক করে চট্টগ্রাম বহিঃনোঙ্গরে নিয়ে আসে এবং বন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে দিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে জ্বালানি তেল দাতা বাংলাদেশী ওয়েল ট্যাংকারটি বর্তমানে ৯ জন ক্রুসহ কোস্ট গার্ড এর তত্ত্বাবধানে রয়েছে।